
আইনি সালতামামি ২০২২
ল’ল্যাব প্রতিবছর আইনি সালতামামি প্রকাশ করে। এবারও আইনি সালতামামি ২০২২ প্রকাশ করা হচ্ছে। গত এক বছরে প্রনীত গুরুত্বপূর্ণ আইন ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত সমূহ এই সালতামামিতে স্থান পেয়েছে।
পরিবর্তনশীল সমাজের চাহিদা পূরণের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়। যুগ জিজ্ঞাসার জবাবে আইনের বিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করতে হয়। এটিই গতিশীলতার পরিচায়ক। নতুন প্রজন্মের চিন্তা চেতনা ধারণ করে ভবিষ্যতের আইনি কাঠামো প্রণয়ন করতে হয়। এই গতিধারা অব্যাহত থাকলে আইন বিদ্যা দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী, বিচারক, আইনের ছাত্র ও শিক্ষকদের সর্বশেষ নজির সর্ম্পকে অবগত থাকা বাঞ্চনীয়। উচ্চ আদালত আইনের যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়ে থাকেন এবং তা পরবর্তীতে অধঃস্তন আদালতের উপর বাধ্যকর হয়। নজির সমূহ নতুন করে পর্যালোচনা করা হয়। নতুন নতুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গতিশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এভাবেই আইনশাস্ত্র মানুষের জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে।
সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগে প্রতিনিয়ত মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হচ্ছে। তাই বিগত এক বছরে প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ রায় ও প্রণীত আইনসমূহ পর্যালোচনা করেছি এবং সহজবোধ্য ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে একজন ব্যক্তিও যদি উপকৃত হন তাতেই আমাদের উদ্যোগ স্বার্থকতা খুঁজে পাবে।
এই সালতামামিতে রয়েছে ৪ টি আইন, আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের ১৯ টি রায়ের সার সংক্ষেপ। তন্মধ্যে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার, চেক ডিজঅনার মামলায় স্বাক্ষরবিহীন নোটিশ, তৎকালীন স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে আনীত মামলা, দুদক কর্তৃক একাধিক নোটিশের বৈধতা, জাপানী শিশুদের মামলা, চাকুরি নীতিমালা ও ন্যাচারাল জাস্টিস এর নীতি ভঙ্গ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কমিশনের ক্ষমতা সংক্রান্ত রায় উল্লেখযোগ্য।
আমরা ভুলক্রুটির উর্ধ্বে নই। সমালোচনার দ্বার সব সময় উন্মুক্ত। গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের পথ চলার পাথেয়। আশা করি খোলা মনে আমাদের ভুলক্রুটি ধরিয়ে দিবেন।
এই প্রকাশনার সাথে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।